রাজনীতিবিদের ফেসবুক ভেঙে ফেলার কথা বলছেন।
এরই জবাবে মুখ খুলেছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী
কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ। তাঁর মতে, মানুষকে
মুক্তভাবে কথা বলার ক্ষমতা দিয়েছে ফেসবুক।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুককে তাই সমাজের
পঞ্চম স্তম্ভ বলে দাবি করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির জর্জটাউন
বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত বাক্স্বাধীনতা বিষয়ে এক
বিবৃতিতে এসব কথা বলেন ফেসবুক প্রধান।
জাকারবার্গ বলেন, ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে মানুষ তাঁর
নিজের মতামত প্রকাশের ক্ষমতা রাখেন। তাই সমাজের
অন্যান্য রাষ্ট্রীয় কাঠামোর পাশাপাশি ফেসবুক এখন
একটি সমাজের পঞ্চম স্তম্ভ।
জাকারবার্গ মনে করেন, সোশ্যাল মিডিয়া ক্ষমতার
বিকেন্দ্রীকরণ করে সরাসরি মানুষের হাতে ক্ষমতা তুলে
দিয়েছে। তাই মানুষকে এখন আর গতানুগতিক
রাজনীতিকদের দেখানো মিডিয়ার ওপর নির্ভর করতে
হবে না। তিনি বলেন, এখানে বাক্স্বাধীনতা, আইন,
সংস্কৃতি এবং প্রযুক্তির সংমিশ্রণের একটি ভিন্নধর্মী
প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে।
ফেসবুক প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টির
পাশাপাশি প্রাইভেসি রক্ষায় ব্যর্থ বলে অভিযোগ
উঠছে। মার্কিন সিনেটর কমলা হ্যারিস ও এলিজাবেথ
ওয়ারেনসহ একাধিক আইনপ্রণেতা ফেসবুক বন্ধ করে
দেওয়ার পক্ষপাতী।
মার্চে প্রথম অসম প্রতিযোগিতা এবং ব্যবহারকারীর
তথ্য ফাঁস রোধে ফেসবুক, আমাজন এবং অন্য বড় প্রযুক্তি
প্রতিষ্ঠানগুলো ভেঙে দেওয়ার পক্ষে নির্বাচনী
প্রচারণা চালান এলিজাবেথ ওয়ারেন। এরপর থেকে
প্রায়ই সে প্রসঙ্গ টেনেছেন তিনি। এমনকি বিলবোর্ডও
টাঙিয়েছেন। সাত মাস পর গত মঙ্গলবার ফেসবুকের
কর্মীদের সঙ্গে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক
জাকারবার্গের বৈঠকের ধারণকৃত অডিও ফাঁস করে
সংবাদ পোর্টাল ‘দ্য ভার্জ’।
গত জুনের সেই বৈঠকে কর্মীদের নানা প্রশ্নের উত্তর
দেন জাকারবার্গ। সেখানে ফেসবুক ভেঙে দেওয়ার
এলিজাবেথ ওয়ারেনের প্রস্তাবের প্রসঙ্গও ওঠে।
উত্তরে জাকারবার্গ আইনি লড়াইয়ের কথা বলেন।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 Response to "ফেসবুক সমাজের পঞ্চম স্তম্ভ: জাকারবার্গ"
Post a Comment
Any Problem Comment Please